Abdullah Shuvro Novel

উপন্যাসঃ কালপিয়াসী জ্যোৎস্না

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪ এ প্রকাশিত উপন্যাস ।
উপন্যাসের নাম: কালপিয়াসী জ্যোৎস্না
প্রকাশনী: কবি প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
স্টল নং: ৬৩-৬৪
আমিরুজ্জামান। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সিভিল সার্ভিস (সিএসপি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও সরকারের একপেশে আচরণের কারণে চাকরি পায়নি। ক্ষোভ ও হতাশায় শেষমেশ উত্তাল তেঁতুলিয়া নদীর তীরে এক স্কুলে শিক্ষকতা বেছে নেয়। এখানেও মন টেকেনি। স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ আর অভিমানে পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আমিরুজ্জামান। ভোলা থেকে লঞ্চযোগে ঢাকা যাওয়ার পথে ঘটে ইতিহাসের ভয়াবহ ‘দ্য গ্রেট ভোলা সাইক্লোন’। ঝড়ের তাণ্ডবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাবা-ছেলে।
আমিরুজ্জামান দেশজুড়ে ছেলেকে খোঁজে। ছেলেকে ছাড়া গ্রামে যাবে না সে। বেছে নেয় একাকী জীবন।
১৯৭০-এর সাইক্লোনের তাণ্ডব ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তেঁতুলিয়া নদী তীরের গ্রামে ফেলে আসা স্ত্রী, শিশুকন্যা কীভাবে বেঁচে থাকে? ছোট ভাই, বিপ্লবী বন্ধু আর আমিরুজ্জামানের প্রতি প্রেমাসক্ত চকোরীর জীবনে কী ঘটে?
এদিকে হারিয়ে যাওয়া ছেলে বেড়ে ওঠে ভারতে। দুই বাংলাতেই তার সমান খ্যাতি। সে এক বড় আখ্যান।
প্রায় ২৬ বছর পর ব্রিটেনের প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর সংবাদের মধ্য দিয়ে নিঃসঙ্গ আমিরুজ্জামানের জীবনে ঘটে এক ভিন্ন ঘটনা। তারও চার বছর পর রানীমাতার মৃত্যুর শোকবার্তার মাধ্যমে এক অভাবিত ঘটনার মুখোমুখি হয়।
কোন সে ঘটনা যার যোগসূত্রে অবসান হয় পরিবারটির মনস্তাত্ত্বিক সাইক্লোনের; উদ্ভাসিত হয় সত্যিকারের কালপিয়াসী জ্যোৎস্না!
এক প্রবল আবেগী ভুবনে বিচরণের পাশাপাশি সমাজ ও ইতিহাসের কিছু অজানা অধ্যায় জানার আমন্ত্রণ রইল।

উপন্যাসঃ শেষ ট্রেন

অন্বেষা প্রকাশন | অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০

“অগ্রহায়ণ মাসের বৃষ্টি আর রুদ্রর চোখের জল একই ধারায় বইতে লাগল! রুদ্র স্থির, রুদ্র নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মনের অজান্তে দুচোখে গড়িয়ে পড়া জল ইসলামপুর বাজার স্টেশনকে ধুয়ে দিল!

মহিমান্বিত হলো অপেক্ষার রাত! শেষ ট্রেন থামেনি।”

হাজারো ব্যস্ততায় মানুষের কর্মচঞ্চল জীবন কখনোবা অনুভূতির দোলাচলে থমকে দাঁড়ায়। নন্দিনী, রুদ্র আর মুনার এই গল্প এমনই মানব অনুভূতির কালকে একটি নান্দনিক প্লাটফর্মে দাঁড় করিয়েছে। নন্দিনী এসেছে বর্ষার মেঘেদের মতো। রুদ্র নন্দিনীকে সাজিয়েছে রৌদ্রের রঙে। মুনা তার রংধনু।

আর মতি মিয়া যেন স্রষ্টার ইচ্ছা পূরণের অচিলা। তার সরলমন, দূরদৃষ্টি, রুদ্রের প্রতি অপরিসীম মমতা যেন পৃথিবীকে ঢেকে দেয়া নীল আকাশ।

উপন্যাসঃ তৎপুরুষ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এ প্রকাশিত হচ্ছে আরো একটি উপন্যাস ।
উপন্যাসের নাম: তৎপুরুষ
প্রকাশনী: কবি প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
স্টল নং: ২০৭-২০৮
আইএসসি পাশ গ্রামের ছেলে সালামত। ৩২ বছরের পুরোটা জীবন দুঃখ-দুর্দশায় ভরা। সব দুর্ঘটনাগুলো ২৩ তারিখের রহস্যময় চক্করে ঘেরা । বিষাদের প্রতিটি ঘটনার সাথে এ তারিখটি জড়িয়ে থাকে। সালামত নিজেকে অলক্ষী ভাবে। এনজিওর চাকরির সুবাদে জীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসলেও এরপরই অপ্রত্যাশিত সব ঘটনা ঘটতে থাকে ‌। রহস্যময় ছায়া মানবী রাত গভীর হলেই তার শোবার ঘরে হেঁটে বেড়ায়। পাশাপাশি বাস্তবেই তার নিঃসঙ্গ জীবনে আসে গুলেনূর । দুই সন্তানের জননী। তার চেয়ে বয়সে বেশ বড়, অপরুপা!
সালামত বুঝে নেয় রহস্যময় ওই নারী অবয়ব আর গুলেনুরের মুখখানি হুবহু মিল, দেখতে ওরা একই রকম। এ কেমন করে সম্ভব?
গুলেনূরের স্বামী সুলতান, জেলখানায় বন্দি। সুলতান তার স্ত্রী ও সন্তানদের আবারো বুকে আগলে রাখতে চায়।
সুলতান কি তা পারে?
উপন্যাসটি পড়লে সব রহস্য উন্মোচিত হবে। জেনে যাবেন কোন সেই পুরুষ যাকে গুলেনূর সত্যিই ভালোবেসেছে?

উপন্যাসঃ শেষ ট্রেন

অন্বেষা প্রকাশন | অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০

“অগ্রহায়ণ মাসের বৃষ্টি আর রুদ্রর চোখের জল একই ধারায় বইতে লাগল! রুদ্র স্থির, রুদ্র নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মনের অজান্তে দুচোখে গড়িয়ে পড়া জল ইসলামপুর বাজার স্টেশনকে ধুয়ে দিল!

মহিমান্বিত হলো অপেক্ষার রাত! শেষ ট্রেন থামেনি।”

হাজারো ব্যস্ততায় মানুষের কর্মচঞ্চল জীবন কখনোবা অনুভূতির দোলাচলে থমকে দাঁড়ায়। নন্দিনী, রুদ্র আর মুনার এই গল্প এমনই মানব অনুভূতির কালকে একটি নান্দনিক প্লাটফর্মে দাঁড় করিয়েছে। নন্দিনী এসেছে বর্ষার মেঘেদের মতো। রুদ্র নন্দিনীকে সাজিয়েছে রৌদ্রের রঙে। মুনা তার রংধনু।

আর মতি মিয়া যেন স্রষ্টার ইচ্ছা পূরণের অচিলা। তার সরলমন, দূরদৃষ্টি, রুদ্রের প্রতি অপরিসীম মমতা যেন পৃথিবীকে ঢেকে দেয়া নীল আকাশ।

উপন্যাসঃ মাখনের দেশলাই

স্বাধীনতার পরবর্তীকালে কমলাপুর রেলস্টেশনের গেইট কিপার মুসাব আলী ও লাল বানু পরিবারের পারিবারিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েন এ উপন্যাসের প্রাথমিক বিষয়বস্তু হলেও বাড়িওয়ালীর সাথে কবিরাজের ভিন্নধর্মী গোপন সম্পর্ক, নিঃসন্তান মুসাব আলী দম্পত্তির পালকপুত্র হিসেবে এতিম শিশু মোহনকে গ্রহণ, পরবর্তীতে নিজপুত্র মাখনের সাথে মোহনের দ্বন্দ্ব ও উপন্যাসকে বহুমাত্রিক রূপ দিয়েছে।

মাখনের ভিন্নধর্মী শৈশব ও কৈশোর উপন্যাসের মূল স্রোতকে আরও বহমান ও গতিশীল করেছে।

কৈশোরের দুরন্তপনা ও পালক বড় ভাইয়ের সাথে একপাশে অন্তর্দ্বন্দ্বের ঢেউ স্বাভাবিক জীবন থেকে মাখনকে ছিটকে নিয়ে যায় বহুদূরের কোলাহলে। নাড়ির টান ভুলে মাখন হয়ে যায় নফসের তাড়া খাওয়া এক ভিনগ্রহের মানুষ।

কবিরাজের শিষ্যত্ব গ্রহণ ও মালার সাথে অসমবয়সী এক মনোদৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, এরই প্রেক্ষাপটে সেচ্ছায় গৃহত্যাগের বহুবছর পর নিজবাড়িতে তার আকস্মিক প্রত্যাবর্তন। এসব যেন অদৃশ্যের ছকে বাঁধা মাখনের ভবিষ্যৎ। পালক ভাই মোহনের সাথে পুনরায় শুরু হয় দ্বন্দ্ব। মোহনের প্রেমিকা নার্গিস কি রক্ষা পাবে মাখনের নিপুণ কূট কৌশল ও লুলুপ থাবা থেকে?

উপন্যাসঃ নীল ফড়িং

পৌষ মাস চলছে। বাইরে ভীষণ শীত। রাত বেশ গভীর। পুবাইলের অদূরে ঝলমলিয়া গ্রাম। মতি মিয়ার চায়ের দোকানে একলাছ সাহেব বসে আছেন। উনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার। দোকানে অন্য কোনো ক্রেতা নেই। এ সময় লাল ফ্রক পরা রহস্যময় একটি ছোট্ট বালিকার আবির্ভাব ঘটে। সেই সঙ্গে কিছু নীল ফড়িং। লাল ফ্রক পরা রহস্যময় ছোট্ট বালিকাটি জানায় তার নাম নাফিলা। তার বাবার নাম একলাছ। একলাছ সাহেব ঘাবড়ে যান। হারিকেনের আলোয় ছোট্ট বালিকাটিকে দেখতে থাকেন। মতি মিয়া, একলাছ সাহেবকে সতর্ক করে দেন, এ মেয়েটি অলৌকিক, রহস্যময় কোনো কিছু। এর আগেও এই মেয়েটি অন্য কোনো এক ভদ্রলোকের সঙ্গে এই দোকানে, এমনই রাতের আঁধারে কথা বলেছিল৷ ঐ ভদ্রলোককেও লাল ফ্রক পরা এ রহস্যময় বালিকাটি একইভাবে, ভদ্রলোকের নিজের কন্যার নামে, নিজের নাম বলেছিল! পরদিন ওই ভদ্রলোকের নিজের কন্যাটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। একলাছ সাহেব ভয় পেয়ে যান। অজানা আতঙ্কে ভোগেন। উনার একমাত্র মেয়ের নাম নাফিলা। এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। নাফিলাকে উনি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। এলাকার মেধাবী ছেলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাবেরের সঙ্গে নাফিলার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। মাখন, নাফিলার সঙ্গে সাবেরের এই সম্পর্ককে মেনে নিতে পারছে না। মাখন নিজেও নাফিলাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। নাফিলার ওপর ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে সাবের বিদেশ পাড়ি জমায়। গৃহশিক্ষক বেলাল মাস্টারও নাফিলাকে ভালোবাসতে শুরু করে। নাফিলা এখন কী করবে? গল্পটি নাটকীয়ভাবে এগুতে থাকে। সাবের ও নাফিলার ভাগ্যে কী আছে? নাফিলা কি বেঁচে থাকবে? শেষ মুহূর্তে আবারও একটি নীল ফড়িং ও ছোট্ট সেই রহস্যময় বালিকার আবির্ভাব ঘটে। এখন কী হবে? সবকিছুর ব্যাখ্যা হয় না- ব্যাখ্যা খুঁজতে নেই!

Home
Search
Video
Blog
About
error: © Abdullah Shuvro
Scroll to Top