Abdullah Shuvro Novel
উপন্যাসঃ কালপিয়াসী জ্যোৎস্না
উপন্যাসঃ শেষ ট্রেন
অন্বেষা প্রকাশন | অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০
“অগ্রহায়ণ মাসের বৃষ্টি আর রুদ্রর চোখের জল একই ধারায় বইতে লাগল! রুদ্র স্থির, রুদ্র নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মনের অজান্তে দুচোখে গড়িয়ে পড়া জল ইসলামপুর বাজার স্টেশনকে ধুয়ে দিল!
মহিমান্বিত হলো অপেক্ষার রাত! শেষ ট্রেন থামেনি।”
হাজারো ব্যস্ততায় মানুষের কর্মচঞ্চল জীবন কখনোবা অনুভূতির দোলাচলে থমকে দাঁড়ায়। নন্দিনী, রুদ্র আর মুনার এই গল্প এমনই মানব অনুভূতির কালকে একটি নান্দনিক প্লাটফর্মে দাঁড় করিয়েছে। নন্দিনী এসেছে বর্ষার মেঘেদের মতো। রুদ্র নন্দিনীকে সাজিয়েছে রৌদ্রের রঙে। মুনা তার রংধনু।
আর মতি মিয়া যেন স্রষ্টার ইচ্ছা পূরণের অচিলা। তার সরলমন, দূরদৃষ্টি, রুদ্রের প্রতি অপরিসীম মমতা যেন পৃথিবীকে ঢেকে দেয়া নীল আকাশ।
উপন্যাসঃ তৎপুরুষ
উপন্যাসঃ শেষ ট্রেন
অন্বেষা প্রকাশন | অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০
“অগ্রহায়ণ মাসের বৃষ্টি আর রুদ্রর চোখের জল একই ধারায় বইতে লাগল! রুদ্র স্থির, রুদ্র নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মনের অজান্তে দুচোখে গড়িয়ে পড়া জল ইসলামপুর বাজার স্টেশনকে ধুয়ে দিল!
মহিমান্বিত হলো অপেক্ষার রাত! শেষ ট্রেন থামেনি।”
হাজারো ব্যস্ততায় মানুষের কর্মচঞ্চল জীবন কখনোবা অনুভূতির দোলাচলে থমকে দাঁড়ায়। নন্দিনী, রুদ্র আর মুনার এই গল্প এমনই মানব অনুভূতির কালকে একটি নান্দনিক প্লাটফর্মে দাঁড় করিয়েছে। নন্দিনী এসেছে বর্ষার মেঘেদের মতো। রুদ্র নন্দিনীকে সাজিয়েছে রৌদ্রের রঙে। মুনা তার রংধনু।
আর মতি মিয়া যেন স্রষ্টার ইচ্ছা পূরণের অচিলা। তার সরলমন, দূরদৃষ্টি, রুদ্রের প্রতি অপরিসীম মমতা যেন পৃথিবীকে ঢেকে দেয়া নীল আকাশ।
উপন্যাসঃ মাখনের দেশলাই
স্বাধীনতার পরবর্তীকালে কমলাপুর রেলস্টেশনের গেইট কিপার মুসাব আলী ও লাল বানু পরিবারের পারিবারিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েন এ উপন্যাসের প্রাথমিক বিষয়বস্তু হলেও বাড়িওয়ালীর সাথে কবিরাজের ভিন্নধর্মী গোপন সম্পর্ক, নিঃসন্তান মুসাব আলী দম্পত্তির পালকপুত্র হিসেবে এতিম শিশু মোহনকে গ্রহণ, পরবর্তীতে নিজপুত্র মাখনের সাথে মোহনের দ্বন্দ্ব ও উপন্যাসকে বহুমাত্রিক রূপ দিয়েছে।
মাখনের ভিন্নধর্মী শৈশব ও কৈশোর উপন্যাসের মূল স্রোতকে আরও বহমান ও গতিশীল করেছে।
কৈশোরের দুরন্তপনা ও পালক বড় ভাইয়ের সাথে একপাশে অন্তর্দ্বন্দ্বের ঢেউ স্বাভাবিক জীবন থেকে মাখনকে ছিটকে নিয়ে যায় বহুদূরের কোলাহলে। নাড়ির টান ভুলে মাখন হয়ে যায় নফসের তাড়া খাওয়া এক ভিনগ্রহের মানুষ।
কবিরাজের শিষ্যত্ব গ্রহণ ও মালার সাথে অসমবয়সী এক মনোদৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, এরই প্রেক্ষাপটে সেচ্ছায় গৃহত্যাগের বহুবছর পর নিজবাড়িতে তার আকস্মিক প্রত্যাবর্তন। এসব যেন অদৃশ্যের ছকে বাঁধা মাখনের ভবিষ্যৎ। পালক ভাই মোহনের সাথে পুনরায় শুরু হয় দ্বন্দ্ব। মোহনের প্রেমিকা নার্গিস কি রক্ষা পাবে মাখনের নিপুণ কূট কৌশল ও লুলুপ থাবা থেকে?
উপন্যাসঃ নীল ফড়িং
পৌষ মাস চলছে। বাইরে ভীষণ শীত। রাত বেশ গভীর। পুবাইলের অদূরে ঝলমলিয়া গ্রাম। মতি মিয়ার চায়ের দোকানে একলাছ সাহেব বসে আছেন। উনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার। দোকানে অন্য কোনো ক্রেতা নেই। এ সময় লাল ফ্রক পরা রহস্যময় একটি ছোট্ট বালিকার আবির্ভাব ঘটে। সেই সঙ্গে কিছু নীল ফড়িং। লাল ফ্রক পরা রহস্যময় ছোট্ট বালিকাটি জানায় তার নাম নাফিলা। তার বাবার নাম একলাছ। একলাছ সাহেব ঘাবড়ে যান। হারিকেনের আলোয় ছোট্ট বালিকাটিকে দেখতে থাকেন। মতি মিয়া, একলাছ সাহেবকে সতর্ক করে দেন, এ মেয়েটি অলৌকিক, রহস্যময় কোনো কিছু। এর আগেও এই মেয়েটি অন্য কোনো এক ভদ্রলোকের সঙ্গে এই দোকানে, এমনই রাতের আঁধারে কথা বলেছিল৷ ঐ ভদ্রলোককেও লাল ফ্রক পরা এ রহস্যময় বালিকাটি একইভাবে, ভদ্রলোকের নিজের কন্যার নামে, নিজের নাম বলেছিল! পরদিন ওই ভদ্রলোকের নিজের কন্যাটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। একলাছ সাহেব ভয় পেয়ে যান। অজানা আতঙ্কে ভোগেন। উনার একমাত্র মেয়ের নাম নাফিলা। এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। নাফিলাকে উনি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। এলাকার মেধাবী ছেলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাবেরের সঙ্গে নাফিলার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। মাখন, নাফিলার সঙ্গে সাবেরের এই সম্পর্ককে মেনে নিতে পারছে না। মাখন নিজেও নাফিলাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। নাফিলার ওপর ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে সাবের বিদেশ পাড়ি জমায়। গৃহশিক্ষক বেলাল মাস্টারও নাফিলাকে ভালোবাসতে শুরু করে। নাফিলা এখন কী করবে? গল্পটি নাটকীয়ভাবে এগুতে থাকে। সাবের ও নাফিলার ভাগ্যে কী আছে? নাফিলা কি বেঁচে থাকবে? শেষ মুহূর্তে আবারও একটি নীল ফড়িং ও ছোট্ট সেই রহস্যময় বালিকার আবির্ভাব ঘটে। এখন কী হবে? সবকিছুর ব্যাখ্যা হয় না- ব্যাখ্যা খুঁজতে নেই!